বীমাখাতে ৯০ শতাংশ আস্থার সংকট দূর হয়েছে: বিএম ইউসুফ আলী
নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমাখাতের মূল সমস্যা আস্থার সংকট। সেই অবস্থা আর নেই। আস্থার সংকট দূর হয়েছে। বীমাখাতের আস্থার সংকট দূর করতে আমরা সারাদেশে বীমা দাবি পরিশোধের আয়োজন করেছি। গ্রাহকে মাঝে শত শত কোটি টাকার দাবি পরিশোধ করা হয়েছে। এসব দাবি পরিশোধ অনুষ্ঠানে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবসহ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সদস্য ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত থেকেছেন। এতে সাধরাণ মানুষের মাঝে বীমা বিষয়ে আস্থার সংকট দূর হয়েছে। আমি মনে করি ৯০% আস্থার সংকট দূর হয়েছে।
আজ শুক্রবার খুলনা বীমা মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিআইএ’র প্রতিনিধি ও বিআইএফএ’র প্রেসিডেন্ট এবং পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম ইউসুফ আলী। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
বি এম ইউসুফ আলী বলেন, আজকের এ বীমা মেলার উদ্দেশ্য বীমা বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা দূর করা। বীমা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা। খুলনায় আজকের এ বীমা মেলা উৎসবে পরিণত হয়েছে। মেলা হয়েছে হাসি খুশির মিলন মেলা। আজকে বীমা মেলায় দেশের ৭৮টি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। প্রতিটি কোম্পানির সিইও’রা এখানে এসেছেন। আমি মনে করি আজকের এ মেলা খুলনার জনগণের মাঝে বীমার প্রতি আস্থার ফিরিয়ে আনবে।
তিনি বলেনন, এক সময় মানুষ বলতো বীমার টাকা পেতে স্যান্ডেল ক্ষয় হয়ে যায়। এখন আর সেটি হয় না। গ্রাহক তার টাকা সময় মতো পান। আমি গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা দিয়ে আসছি। তাই বীমার এখন উন্নয়নের সময় চলছে।
বিআইএফএ’র প্রেসিডেন্ট বি এম ইউসুফ আলী বলেন, আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১০ সালে বীমা আইন ও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন মহান সংসদে পাস করেন। বীমার সুবিধাকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার একজনকে চেয়ারম্যান করে ৪ জন সদস্য নিয়োগ দিয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন করেন। ইতোমধ্যে বীমা খাতের উন্নয়নে নানা পদেক্ষেপ নিয়ে বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে একটি কার্যকর ও বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।
বি এম ইউসুফ আলী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালে বীমা কোম্পানিতে যোগদান করেছিলেন। এ কারণে তার এ স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করেছেন। যা ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদিত হয়েছে। আমি আশা করব সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জেলা উপজেলায় জাতীয় বীমা দিবস ব্যাপকভাবে আয়োজন করবেন। এক্ষেত্রে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সদস্য ও প্রধানদের নিয়ে আয়োজন করবেন। তাহলে বীমা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে আসবে।
জতির পিতা যে পেশা বেছে নিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে একটি মহৎ পেশা। আমরা সে পেশাতেই আছি। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। বীমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম- যৌথভাবেই বীমাখাতের উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।
বিআইএফএ’র প্রেসিডেন্ট বি এম ইউসুফ আলী আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন পদ্মা সেতু করার উদ্যোগ নেন। তখন আমরা বীমাখাতের পক্ষ থেকে টাকা যোগানের কথা বলেছিলাম। আমরা বলেছিলাম, পদ্মা সেতু করার জন্য আমরাই বিনিয়োগ করবো। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা বীমাখাতই প্রথম তার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। তাই বীমাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। দেশের উন্নয়নে আমাদের বীমাখাতের অনেক দায়িত্ব সে দায়িত্ব আমাদের পালন করতে হবে।