আর্থিক সুরক্ষা, আয়কর রেয়াত ও শরীয়াহ ভিত্তিক বিনিয়োগ নিশ্চিত করে ইসলামী জীবন বীমা
নাদিরা ইসলাম, এমএএস: সর্বোচ্চ আয়কর রেয়াত (Tax Rebate), সুনিশ্চিত আর্থিক সুরক্ষা, শরীয়াহ ভিত্তিক বিনিয়োগ এবং মূল্যবান জীবনের ঝুঁকির নিরাপত্তা এই সকল ধরনের সুবিধা যদি আপনি একটিমাত্র বিনিয়োগে পেয়ে যান, তাহলে কেমন হবে? কিভাবে পাবেন, চলেন জেনে নেই-
অনেকেরেই প্রশ্ন থাকে এই সকল সুবিধা কি আমি একটি মাত্র বিনিয়োগের মাধ্যমেই পাবো? এই বিনিয়োগ কি সুদমুক্ত, ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তিক? আয়কর রেয়াতের জন্য সঞ্চয়পত্র ছাড়া আর কোন সুরক্ষিত বিনিয়োগ খাত কি আছে? অবশ্যই সকল সুবিধা একই ছাতার নীচে পাবেন, কিন্তু কিভাবে?
এরকমই একটি নিশ্চিন্ত এবং নিরাপদ খাত হচ্ছে ইসলামী জীবন বীমা, যেখানে বিনিয়োগে আপনি পাচ্ছেন শরীয়াহভিত্তিক সুরক্ষা, সর্বোচ্চ কর রেয়াত এবং বীমার মেয়াদের ভিতরে যেকোন সময় এমন কি একটিমাত্র প্রিমিয়াম দিয়েও ভবিষ্যতের অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য সুদমুক্ত আর্থিক সুরক্ষা।
জীবন বীমায় বিনিয়োগে কোন সীমা নির্ধারণ করা নেই, অর্থাৎ আপনি আপনার সম্পূর্ণ বিনিয়োগযোগ্য আয় বীমায় বিনিয়োগ করতে পারবেন। কর রেয়াতের জন্য জীবন বীমার ক্ষেত্রে প্রতিবছর ৩০ জুনের মধ্যে আপনার জীবন বীমার প্রদত্ত প্রিমিয়াম এবং বীমাঅংকের শতকরা ১০ শতাংশের মধ্যে যেটি কম, সেটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অনুমোদিত বিনিয়োগ হিসেবে আয়কর রেয়াতের আওতায় পরবে।
মেয়াদ শেষে আপনার জীবন বীমা পলিসি থেকে পাচ্ছেন আপনার বিগত বছরগুলোতে জমানো বিশাল বড় একটি মূলধন যা আপনার পলিসির বীমাঅংক এবং ইসলামী তাকাফুল কোম্পানির শরীয়াহ ভিত্তিক মুনাফা বা ক্ষতির (অর্জিত বোনাস) অংশ পাবেন। অথবা মেয়াদের ভিতরে যেকোন সময় অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর জন্য (আল্লাহ না করুক) আপনার নমিনী পেয়ে যাবেন সম্পূর্ণ বীমাঅংকের সাথে অর্জিত বোনাস (লাভ ক্ষতির ভিত্তিতে), যা আপনার পরিবারকে করবে আর্থিকভাবে শক্তিশালী; সাথে ধর্মীয় মূল্যবোধ থেকে আপনাকে করবে আরো বেশি সমৃদ্ধ ।
তাই আজই ৩০ জুনের ভিতরে আপনার পছন্দমতো যেকোন একটি পরিকল্পের ইসলামী জীবন বীমা/ জীবন বীমা পলিসি ক্রয় করে সর্বোচ্চ আয়কর রেয়াত (Tax Rebate) সহ আরো অন্যান্য সুবিধা ভোগ করুন। সুরক্ষিত থাকুন এবং সচেতনতা বাড়িয়ে অন্যকে ও সুরক্ষিত রাখুন।
লেখক: সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব একচ্যুয়ারিয়াল ফাংশন, আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি।