বীমাখাতে প্রথম প্রান্তিকে প্রিমিয়াম সংগ্রহ ২৬৬০ কোটি টাকা

আবদুর রহমান আবির: দেশের লাইফ ও নন-লাইফ বীমাখাতে ২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকে সর্বমোট ২ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ হয়েছে। যা ২০১৭ সালে সংগৃহীত মোট প্রিমিয়ামের ২৩.৮৬ শতাংশ। গত বছর সর্বমোট ১১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে দেশের উভয় বীমাখাত।

এ প্রিমিয়াম সংগ্রহকে সন্তোষজনক নয় বলে জানিয়েছে দেশের বীমাখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) । ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর ব্যবসার দক্ষতার মূল্যয়ন শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ চিত্র তুলে ধরেছে আইডিআরএ।

প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকে দেশের লাইফ বীমাখাতে মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা। এর আগে ২০১৭ সালে খাতটিতে মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ৮ হাজার ২১৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০১৭ সালের তুলনায় প্রথম প্রান্তিকে ২১.০৩ শতাংশ প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। যা তুলনামূলক বিশ্লেষণে সন্তোষজনক নয় বলে জানিয়েছে এ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

অন্যদিকে ২০১৭ সালে নন-লাইফ কোম্পানিগুলোর মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ২ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা। আর ২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকে এসে কোম্পানিগুলোর মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯২৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০১৭ সালের তুলনায় প্রথম প্রান্তিকে ৩১.৫৯ শতাংশ প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। যা সন্তোষজনক নয় বলে জানিয়েছে আইডিআরএ।

বীমা কোম্পানিগুলোর প্রথম প্রান্তিকের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আইডিআরএ জানিয়েছে, ২০১৮ সালের অবশিষ্ট সময়ে ২০১৭ সালের তুলনায় বেশি গ্রস প্রিমিয়াম সংগ্রহ করতে হলে বীমা আইনের বিধান পরিপালনপূর্বক লাইফ বীমাকারীকে মাঠ পর্যায়ে নতুন এজেন্ট নিয়োগ এবং নতুন পলিসি বিক্রির মাধ্যমে আরো কার্যকরী ভূমিকা নেয়া প্রয়োজন।

একইভাবে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোকে ২০১৮ সারের অবশিষ্ট সময়ে ২০১৭ সালের তুলনায় বেশি গ্রস প্রিমিয়াম আয় করতে হলে বীমা আইনের বিধান পরিপালনপূর্বক অস্বাভাবিক হারে কমিশন প্রদানের মাধ্যমে ব্যবসা সংগ্রহের অসুস্থ প্রতিযোগিতার যে অভিযোগ রয়েছে তা রোধ করে আরও কার্যকরী ভূমিকা নেয়া প্রয়োজন, বলেছে আইডিআরএ।