বীমাখাতের উন্নয়নে ডিজিটাইজেশনের বিকল্প নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমাখাতের উন্নয়নে ডিজিটাইজেশনের বিকল্প নেই। বীমা কোম্পানিগুলোর প্রত্যেকটা ব্রাঞ্চ, সার্ভিস সেন্টার ডিজিটাইজেশনের আওতায় আনতে হবে। এতে গ্রাহকরা যেমন দ্রুত সেবা পাবেন তেমনি বীমাখাতের ওপর তাদের আস্থাও তৈরি হবে। দূর হবে বীমাখাতের নেতিবাচক ইমেজ।
বীমা মেলা ২০১৮’র দ্বিতীয় দিনে “বীমাখাতে ডিজিটাইজেশন এবং চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে দু’দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী ছিলেন সেমিনারের প্রধান অতিথি।
সেমিনারে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, বীমার ইতিবাচক ইমেজ সৃষ্টিতে বীমা কোম্পানিগুলোকে ডিজিটাইজেশন করার কোন বিকল্প নেই। প্রত্যেকটা ব্রাঞ্চ অফিস, সার্ভিস সেল অটোমেশনের আওতায় আনা গেলে গ্রাহকরা আস্থা পাবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের যে বড় সমস্যা- দাবি পরিশোধ, তা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসছে। আইডিআরএ’র বর্তমান চেয়ারম্যান দাবি পরিশোধকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। বীমা গ্রাহকদের দাবি দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন।
বীমা কোম্পানিগুলোকে অটোমেশনের আওতায় আনা গেলে এখাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যাবে বলেও মন্তব্য করেন ড. মোশাররফ। তিনি বলেন, বীমাখাতের উন্নয়নে বর্তমানে বিশ্ববাংকের একটি প্রজেক্টের কাজ চলছে। আইডিআরএ এতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে। এটি বাস্তবায়ন হলে একধাপ এগিয়ে যাবে বীমাখাত।
রূপালী ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পিকে রায় বলেন, বীমাখাতের উন্নয়নের জন্য ডিজিটাইজেশনের বিকল্প নেই। তবে আমরা কখন কোন পরিস্থিতিতে ডিজিটাইজেশনে যাবো এটা একটা ভাবনার বিষয়। শুধুমাত্র প্রোডাক্ট ডিজিটাইজেশন করলেই হবে না অপারেশনটাও ডিজিটাইজেশন করতে হবে। এক্ষেত্রে অটোমেশন করার আগে অপারেশনটাকে আরো উন্নত করতে হবে।
গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা চৌধুরী বলেন, বীমাখাতের উন্নয়নে প্রতিটি কোম্পানিকে ডিজিটাইজেশনের আওতায় আনতে হবে। ডিজিটাইজেশনের ফলে কোম্পানিগুলো নানা অ্যাপস ব্যবহার করতে পারবে। যার মাধ্যমে গ্রাহকরা প্রয়োজনমতো সেবা নিতে পারবে।
ডিজিটাইজেশনের সম্ভাব্যতা তুলে ধরতে গিয়ে ফারজানা চৌধুরী জানান, বর্তমানে দেশের ১৫ কোটি মোবাইল ইউজার রয়েছেন। এরমধ্যে ৫ কোটি রয়েছেন স্মর্ট ফোন ইউজার। এ ছাড়াও ৯ কোটি ইন্টারনেট ইউজার আছে। ৫ হাজার উপজেলায় রয়েছে ডিজিটাল সেন্টার এবং ৪ কোটি মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট।
ফারজানা চৌধুরী বলেন, দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। একইসঙ্গে বাড়ছে দেশের অর্থনীতির আকার। সব ধরনের ঝুঁকি হ্রাসে বীমাকে কাজে লাগাতে হবে। তাই বীমাখাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে পারলে দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধি পাবে। এরমধ্য দিয়ে জিডিপি’তে বাড়বে বীমাখাতের অবদান।