মেয়াদোত্তর গ্রুপ বীমার দাবি

বিএসএমএমইউ'কে ৫ কোটি টাকা পরিশোধ করলো প্রোগ্রেসিভ লাইফ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (বিএসএমএমইউ)’র শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গ্রুপ বীমার মেয়াদোত্তর দাবি পরিশোধ করলো প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার হাতে বীমা দাবির ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৪৪ টাকার চেক তুলে দেন কোম্পানিটির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা দীপেন কুমার সাহা রায়।

ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’কে দীপেন কুমার সাহা রায় জানান, আমরা শুধু ব্যবসা নয় সেবার মানসিকতা নিয়েই কাজ করি। বিএসএমএমইউ’র শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গ্রুপ বীমা আমরা করেছিলাম। ৫ বছর মেয়াদী এই গ্রুপ বীমায় আমরা প্রিমিয়াম বাবদ পেয়েছি ৪ কোটি ৭৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭৪৫ টাকা।

এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মৃত্যুদাবি বাবদ ৫৪ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি। এ ছাড়াও এটি এনডোওমেন্ট পলিসি হওয়ায় এখন ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৪৪ টাকা প্রিমিয়াম রিফান্ড দেয়া হলো। তবে করসহ বীমা দাবির পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৯৯ হাজার ৬২৯ টাকা।

দীপেন কুমার বলেন, বীমা করলে যে সুবিধা পাওয়া যায় তা এই দাবি পরিশোধের মাধ্যমে প্রমাণ করলো প্রোগ্রেসিভ লাইফ। তাছাড়া বীমা দাবি পাওয়ার জন্য শুধু গ্রাহকরাই কোম্পানির কাছে যায় না বরং কোম্পানিও গ্রাহকের কাছে যায় দাবির টাকা পরিশোধ করতে, তারও দৃষ্টান্ত এটি।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউ’র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহানা আক্তার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. আবদুস সোবাহানসহ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে বীমা কোম্পানিটির চীফ ফিনান্সিয়াল অফিসার বিপুল চন্দ্র নাথ, কোম্পানি সেক্রেটারি মশিউর রহমান, হেড অব অডিট শওকতুল করিম, ডেপুটি ম্যানেজার সৈয়দ বিল্লাল হোসেন, ডেপুটি ম্যানেজার (গ্রুপ) মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান, পাবলিক রিলেশন অফিসার নয়ন চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়াও চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র সদস্য গকুল চাঁদ দাস এবং নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) খলিল আহমদ উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া অনুষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত না হওয়ায় চেক হস্তান্তর না করেই বিদায় নেন কর্তৃপক্ষের সদস্য ও নির্বাহী পরিচালক।