টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রোগ্রেসিভ লাইফের সাবেক সিইও’সহ ৫ কর্মকর্তার গ্রেফতারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)’সহ কোম্পানিটির ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। কোম্পানিটির সাবেক এক কর্মকর্তার দায়ের করা মামলায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও’র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর কবির (রাজ) এ আদেশ দেন। মামলা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আসামিরা হলেন কোম্পানিটির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ তানভীর আলম, (৫৭) এএমডি (সংগঠন প্রধান) একেএম হামিদুর রহমান, জিএম (সং সংগঠন প্রধান) মো. খলিলুর রহমান, প্রধান কার্যালয়ের সিনিয়র কনসালটেন্ট মো. হাবিবুল হায়দার চৌধুরী এবং সিনিয়র ডিজিএম (অডিট) মো. মনিরুজ্জামান খান। আসামিদের মধ্যে খলিলুর রহমান ও হামিুদর রহমান প্রোগ্রেসিভ লাইফে কর্মরত।

প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের সাবেক এজিএম মো. জহুরল ইসলাম এ মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জহুরল ইসলাম কোম্পানিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় কোম্পানির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে লিখিতভাতে দুর্নীতির অভিযোগ করেন। এরপর কোম্পানির ওই কর্মকর্তারা তাদের দুর্নীতি আড়াল করতে উল্টো জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে টাকা আত্মাসাতের অভিযোগ এনে তাকে কোম্পানি থেকে বহিষ্কার করেন। জহুরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মাসাতের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করে কোম্পানির কাছে জবাব দাখিল করলে এ বিষয়ে প্রোগ্রেসিভ লাইফ কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অপরদিকে, জহুরুল ইসলামের বেতন ভাতা বাবদ প্রাপ্য ৩০ লাখ ৫০ হাজার ৬৭৯ টাকা আদায়ের জন্য বারবার কোম্পানির কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় তিনি এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদি জহরুল ইসলাম বলেন, আমার বেতন ভাতা বাবদ পাওনা টাকা আদায়ে এ মামলা করেছি। আমি আশা করছি, ন্যায় বিচার পাব।

তিনি আরো বলেন, আমার পাওনা টাকা না দিতে কোম্পানি আমার বিরুদ্ধে জামানতকৃত চেক দিয়ে মিথ্যা মামলা করেছে। এ মামলটি আদালতে বিচারাধীন। এ মামলাতেও আমি ন্যায় বিচারের আশা করছি।

মামলার ১নং আসামি প্রোগ্রেসিভ লাইফের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. তানভীর আলম বলেন, এটা আমার ব্যক্তিগত কোনো মামলা নয়। এছাড়া মামলা থেকে তার নাম খারিজ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

মামলার আসামি একেএম হামিদুর রহমান বলেন, এটা মিথ্যা মামলা। নিম্ন আদালত থেকে মামলা খারিজ করা হয়েছে বলেই আমি জানি। ওয়ারেন্ট বিষয়ে আমার কোনো তথ্য জানা নেই।

কোম্পানিটির বর্তমান মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা দীপেন কুমার রায় বলেন, যে কর্মকর্তা মামলা করেছেন তার বিরুদ্ধেও কোম্পানির পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।