তবুও মানুষ বীমার সমৃদ্ধি দেখতে চায়: অজিত কুমার পল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘বীমা কোম্পানি ও গ্রাহকদের মধ্যে বিশাল দূরত্ব রয়েছে। বীমা কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় এই দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তবুও মানুষ বীমার সমৃদ্ধি দেখতে চায়। তারা বীমার সমৃদ্ধি দেখার অপেক্ষায় রয়েছে।’ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর নয়া পল্টনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুষ্পদাম মিলনায়তনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (এফসিএ) অজিত কুমার পাল।

তিনি বলেন, ‘বীমার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতে এবং তা পূরণ করতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সরকার বীমাখাতকে জনপ্রিয় করতে কাজ করছে। জনগণ যাতে বীমা পলিসি গ্রহণ করে এজন্য সরকার বীমা আইন ও বিধিমালা তৈরি করছে। অনেক বীমাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’

সচিব বলেন, ‘বীমাখাতের উন্নয়নে আইডিআরএ কাজ করে যাচ্ছে। তবে কেবল আইডিআরএ’র একার পক্ষে বীমাখাতের চিত্র পাল্টানো সম্ভব না। আমাদের মানুষের দ্বারপ্রান্তে যেতে হবে, বীমাপণ্যের মান বাড়াতে হবে এবং মানুষকে বীমার সুবিধা প্রদান করতে হবে।’

তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, ‘এখন সময় এসেছে বীমার উন্নয়ন করার। বীমাখাতকে জনপ্রিয় করার। এজন্যও সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তবে এখনও অনেক দাবি নিষ্পত্তি করার বাকি আছে।’

অজিত কুমার বলেন, ‘বীমাখাতের উন্নয়নে পেশাদারি অ্যাকচ্যুয়ারির ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু আমাদের দেশে মাত্র দু’তিন অ্যাকচ্যুয়ারি রয়েছে। আমাদেরকে বীমাখাতে যোগ্য ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব তৈরি করতে হবে। শিক্ষিতদের বীমাখাতে নিয়ে আসতে হবে।’

সেমিনারটিতে সভাপতিত্ব করেন জীবন বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব ড. শেলীনা আফরোজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট ফর প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট (বিআইপিডি)’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম.এ. খালেক, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. শেখ মহ. রেজাউল ইসলাম।

সেমিনারে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন ইন্স্যুরেন্স ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া’র প্রফেসর জর্জ ই থমাস। সেমিনারটিতে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন, জীবন বীমা কর্পোরেশন ও বিভিন্ন বীমা কোম্পানি থেকে ১২০ জনের অধিক কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন। সেমিনারটি চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।