মানুষের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ায় বীমা
নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমাকে দুঃসময়ের সঙ্গী আখ্যায়িত করে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, বীমা মানুষের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ায়। তাই আমাদের সবার দায়িত্ব বীমার সুবিধা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বীমা। সবাই মিলে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে হবে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে রোববার রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে এ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম (বিআইএফ) । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইডিআরএ'র চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী।
মানুষের জীবন ও সম্পদে বীমার গুরুত্ব তুলে ধরতে রাজধানী ঢাকায় সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলোর আলোচনা করেন বক্তারা। তারা বলেন, ডিএনসিসি মার্কেটে আজ মানুষ কাঁদছে। কিন্তু যদি তাদের সবার বীমা কভারেজ থাকতো তাহলে আজ আর তাদের কাঁদতে হতো না। বীমাকারীরা তাদের ক্ষতিপূরণ দিত।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা মানেই এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি স্বাধীনতার পর ন্যায় ভিত্তিক সমাজ ও অর্থনৈতিক মুক্তি চেয়েছিলেন। কিন্তু আজ আমাদের মাঝে এ দু’টিরই অভাব। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এ দু’টির জন্যই কাজ করছেন। আমাদের সবার উচিত তার কাজে সহযোগিতা করা।
আলোচকরা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এমন একজন মানুষ যিনি বাংলা ও বাঙালীর মুক্তির সংগ্রামে তার জীবন অতিবাহিত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর কারণেই আজ আমরা স্বাধীনতার সোনালী সূর্য দেখতে পাচ্ছি। তাই বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের ত্যাগের কথা অবশ্যই আমাদের স্বরণে রাখতে হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিআইএফ’র প্রেসিডেন্ট ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম ইউসুফ আলী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ফোরামের মহাসচিব ও এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমাম শাহীন। উপস্থাপনায় ছিলেন পপুলার লাইফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম শওকত আলী।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন, আইডিআরএ’র সদস্য গকুল চাঁদ দাস ও বোরহান উদ্দিন আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক খলিল আহমেদ, বিআইএফ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের সিইও ফারজানা চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ফারইষ্ট ইসলামী লাইফের সিইও মো. হেমায়েত উল্লাহ, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মো. আবদুল খালেক মিয়া, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম নিরু প্রমুখ।