বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের করণীয় প্রসঙ্গে
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: ২০১১ সালে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) গঠন করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বীমাখাতের উন্নয়ন এবং নিয়ন্ত্রণ। দীর্ঘ প্রায় এক দশক পর এখন সময় এসেছে বীমা কর্তৃপক্ষের কার্যপরিধি পর্যালোচনা করার।
এই সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বীমা সম্বন্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ২০১৬ সাল থেকে বার্ষিক ‘বীমা মেলা’ প্রবর্তনের পাশাপাশি বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ করেছে যার জন্য বীমা কর্তৃপক্ষ প্রশংসার দাবি রাখে।
এ কথা বললে হয়তো অত্যুক্তি হবে না যে, বীমাখাতে প্রচুর সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে যা এখন সময়ের দাবি।
যেসব প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবে মনের কোনে উঁকিঝুঁকি মারছে তা হচ্ছে ২০১০ সালে প্রবর্তিত বীমা আইনের কতটা প্রয়োগ বা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে?
বীমা বিশেষজ্ঞদের মতে বীমা কর্তৃপক্ষের বর্তমান বীমা আইনের কঠোর প্রয়োগ, প্রয়োজনে নূতন আইন প্রণয়ন ইত্যাদির মাধ্যমে বীমাখাতের বর্তমান নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতির উত্তরণ সম্ভব হতে পারে।
এ ব্যাপারে বীমা কর্তৃপক্ষের সকল প্রকার সঙ্কোচ এবং জড়তা ত্যাগ করে সাহসিকতা এবং দৃঢ়তার সাথে সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে।
বীমাখাতের বর্তমান দূরাবস্থার জন্য বিরাজমান দুর্নীতিকে একটি অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। এর মূলোৎপাটন না হলে বীমাখাতের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সক্রিয়ভাবে তাদের ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে এগিয়ে আসবে, তাদের কাছে সবার এটাই প্রত্যাশা।