উচ্চ ঝুঁকিতে দেশের ৩২ লাইফ ও নন লাইফ বীমা কোম্পানি প্রসঙ্গে
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) কর্তৃক সরবরাহকৃত উপরে বর্ণিত তথ্যটি এই পত্রিকায় গত ২ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে, যা দেশের বীমা কোম্পানির প্রায় ৪০ শতাংশ।
এত অধিক সংখ্যক বীমা কোম্পানি গভীর আর্থিক সংকটে ভূগছে যা কেবল শঙ্কাজনক নয়, বরং চরম উদ্বেগের কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার এই পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছে।
বীমা সংশ্লিষ্টদের মতে, বীমা খাতে সীমাহীন দুর্নীতি, অব্যাবস্থাপনা এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিশ্ক্রিয়তা প্রধানত এই সংকটের জন্য দায়ি।
বীমা গ্রাহক এবং বৃহত্তর জনস্বার্থে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবিলম্বে ভালো-মন্দসহ এই সকল মুমূর্ষ বীমা কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা।
বীমা বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বা সাইজ হিসেবে বীমা কোম্পানির সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কেবল অতিরিক্তই নয় বরং মাত্রাতিরিক্ত।
আর্থিকভাবে অসুস্থ এবং ভঙ্গুর বীমা কোম্পানির ব্যবসা করার কোন যৌক্তিক কারন থাকতে পারে না। বীমা খাতের এই চরম নৈরাজ্যজনক অবস্থার অবশ্যই অবনতি ঘটতে হবে।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অনতিবিলম্বে এই সকল বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা এবং বীমা খাতকে এই গভীর সংকটের হাত থেকে রক্ষা করা।