আকর্ষণ হারাচ্ছে ভারত সরকারের শস্য বীমা
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: দু'বছর আগে চালু করা ভারত সরকারের শস্য বীমা প্রকল্প ক্রমেই আকর্ষণ হারাচ্ছে। কৃষি উন্নয়নের এ প্রকল্পে অগ্রগতির সূচক এখন উল্টো পথে। দেশজুড়ে এই বীমা কাভারেজের পরিমাণ ২০১৮ অর্থ বছরে ২৪ শতাংশে নেমে এসেছে। এরআগে ২০১৭ অর্থ বছরের এই কাভারেজের পরিমাণ ছিল ৩০ শতাংশ।
ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা (পিএমএফবিওয়াই) কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল ২০১৮ অর্থ বছরে দেশের ৪০ শতাংশ ফসলী জমি এই কাভারেজের আওতায় নিয়ে আসা। বর্তমানে দেশটিতে মোট ফসলি এলাকা বা গ্রস ক্রপড এরিয়া (জিসিএ) রয়েছে প্রায় ১৯৮.৪ মিলিয়ন হেক্টর।
আগামী ২০১৯ অর্থ বছরের মধ্যে মোট ফসলি এলাকার মধ্যে ৯৮ মিলিয়ন হেক্টর বা জিসিএ'র ৫০ শতাংশ প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। কিন্তু বর্তমান নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে এ লক্ষ্যে পৌঁছানো অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে।
২০১৭ অর্থ বছরে ভারতে বীমাবৃত কৃষকের সংখ্যা ছিল ৫৫.৩ মিলিয়ন। যা ২০১৮ অর্থ বছরে ১৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭.৯ মিলিয়ন। সরকারের একজন কৃষি সচিব জানিয়েছেন, লক্ষ্যমাত্রায় ফসল উৎপাদন না হওয়া ছাড়াও দাবি পরিশোধ করতে অস্বীকার ও কালক্ষেপণের কারণে কৃষকরা ফসলের বীমা আগ্রহ হারাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনার আওতায় মোট প্রিমিয়ামের মধ্যে খারিফ ফসলের ক্ষেত্রে কৃষককে ২ শতাংশ প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে হয়। আর রবি ফসলের জন্য মোট প্রিমিয়ামের ১.৫ শতাংশ এবং বৃক্ষচাষীদেরকে ৫ শতাংশ প্রিমিয়াম দিতে হয়।