ভারতে তামাদি পলিসির হার কমছে
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ভারতের লাইফ বীমাখাতে তামাদি পলিসির হার কমছে। এর ফলে বাড়ছে চালু পলিসির হার। গত ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০১৭ অর্থ বছরে ১৩তম মাস পর্যন্ত চালু পলিসির হার বেড়েছে ৪ শতাংশ এবং ৬১ত মাস পর্যন্ত চালু পলিসির হার বেড়েছে ৫ শতাংশ।
সর্বশেষ ২০১৭ অর্থ বছরের হ্যান্ডবুকে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে দেশটির বীমাখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি এন্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (আইআরডিএআই) । স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম লাইফমিন্ট এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
তবে ভারতে লাইফ বীমা পলিসি চালু থাকার এ হার বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় সুস্পষ্টভাবে বিপরীত বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। বিশ্বের অনেক দেশে গড়ে ৯০ শতাংশ পলিসি প্রথম বছর শেষে চালু থাকে এবং ৫ম বছর শেষে চালু পলিসির পরিমাণ ৬৫ শতাংশ।
আইআরডিএআই'র তথ্য অনুসারে, ২০১৬ অর্থ বছরে ৬১ শতাংশ পলিসি ১৩তম মাস পর্যন্ত চালু ছিল। যা ২০১৭ অর্থ বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ শতাংশ। অর্থাৎ বিদায় বছরে ১৩তম মাস পর্যন্ত পলিসি চালু থাকার পরিমাণ ৪ শতাংশ বেড়েছে। আর বাকী ৩৫ শতাংশ পলিসি তামাদি হয়েছে।
অন্যদিকে ৬১তম মাস পর্যন্ত চালু থাকা পলিসির পরিমাণ ২০১৬ অর্থ বছরে ছিল ২৯ শতাংশ। যা ২০১৭ অর্থ বছরে ৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ শতাংশ। ৫ বছরের বেশি সময় চালু পলিসির সংখ্যা বা তামাদি পলিসির বিষয়ে কোন তথ্য প্রকাশ করেনি ভারতের বীমাখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইআরডিএআই।
একচ্যুয়ারি বিষয়ে দক্ষরা বলছেন, চালু পলিসির সংখ্যা ৮০ শতাংশের নিচে থাকলে দীর্ঘমেয়াদে বীমা কোম্পানির মুনাফায় প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ, পলিসি চালুর প্রাথমিক স্থায়ী ব্যয়সমূহ উচ্চ সীমা বজায় রাখে।
ম্যাক্স লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সিনিয়র ডাইরেক্টর এন্ড সিওও ভি বিশ্বানন্দ জানিয়েছেন, বড় পলিসি ক্রয়ের ক্ষমতাসম্পন্ন গ্রাহকদের মাঝে ছোট পলিসি বিক্রি করার কারণে ১৩তম মাস পর্যন্ত পলিসি চালু থাকার পরিমাণ বাড়ছে।
অন্যদিকে নতুন ইউলিপস তথা ইউনিট-লিংকড ইন্স্যুরেন্স পলিসিগুলোর বেশিরভাগ গ্রাহক ৬১তম মাস বা ৫ বছরের পরেও পলিসি চালু রাখতে প্রিমিয়াম প্রদান বজায় রাখে। এ কারণে এসব ক্ষেত্রে চালু পলিসির হার বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান বিশ্বানন্দ।
কানাডার আরজিএ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ভারত শাখার সিইও কেএস গোপাল কৃষ্ণ বলেছেন, চালু পলিসির সংখ্যা দ্বারা বীমা বাজারের উন্নয়ন বোঝায় না। বীমা কোম্পানিগুলো যদি তাদের ৫০ শতাংশ গ্রাহকও ৫ বছরের বেশি সময় ধরে রাখতে না পারে তাহলে দীর্ঘমেয়াদী পলিসি আর বিক্রি করা হবে না।