ভারতে ফসল বীমার আওতায় ৩৩% কৃষক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের মুর্শিদাবাদে প্রায় ছয় লাখ কৃষক পরিবার রয়েছে। সেখানে এ বছর রবি মৌসুমে এক লাখ ৯৪ হাজার কৃষক পরিবার ফসল বীমা প্রকল্পের আওতায় এসেছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এটাই সর্বোচ্চ।
কৃষি দপ্তর জানায়, সচেতনতার অভাব ও বীমা করেও ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় ফসল বীমার প্রতি কৃষকদের অনীহা রয়েছে। তবে কৃষি দপ্তর বীমার বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করছে। একইসঙ্গে প্রচারও চালাচ্ছে।
জেলার উপ-কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) তাপসকুমার কুণ্ডুর দাবি, অনেক কৃষক অন্যের জমিতে চাষাবাদ করেন। তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। এমন কৃষকদের বাদ দিলে দেখা যাবে জেলার প্রায় অর্ধেক কৃষককে এই প্রকল্পের আওতায় আনা গেছে। আগামী দিনে বাকি কৃষকদের এই প্রকল্পে আনা হবে।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করতে আর্থিক সহায়তার জন্য রয়েছে ভারতে ফসল বীমা যোজনা প্রকল্প। ২০১৭ সালে ১২.৫ শতাংশ কৃষককে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছিল। চলতি বছরে তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৩২.৩৩ শতাংশ। ২০১৮ সালে রবি মৌসুমে যেখানে ৩৫ হাজার কৃষক পরিবার এই প্রকল্পের আওতায় এসেছিল। এ বছর এক লাখ ৯৪ হাজার কৃষক এই প্রকল্পের আওতায় এসেছে। তবে এখনও প্রায় ৭০ শতাংশ কৃষক এই প্রকল্পের বাইরে রয়েছে।
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আবেদন করার সময়সীমা এক মাস বাড়িয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছিল। ফলে বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি কৃষককে এই প্রকল্পের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। ২০১৭ ও ২০১৮ সালের চাষাবাদে যে ক্ষতি হয়েছিল, সেই ক্ষতির টাকা চাষিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৬ সালের এপ্রিলে চালু করেন ফসল বীমা যোজনা প্রকল্প। অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত ও ঋণগ্রস্ত কৃষকের মাথা থেকে ক্ষতি বা ঋণের বোঝা কমাতে সাহায্য করছে এই প্রকল্প। একইসঙ্গে কৃষকদের উৎসাহ যোগাচ্ছে কৃষিকাজে।
প্রকল্পটি ভারতের সব রাজ্যে চালু রয়েছে। এটি পরিচালনায় সহযোগিতা করছে সকল রাজ্য সরকার। তারা কৃষকদের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রকল্পটি সফলের চেষ্টা করছে। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর প্রশাসনিক দায়িত্বে রয়েছে।