ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা

বীমার আশ্রয় খুঁজছে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো

পাপলু রহমান: ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা চিরচেনা। এখন তা সামরিক সংঘাতে রূপ নিয়েছে, যা যুদ্ধে পরিণত হতে পারে। তবে এই পরিস্থিতি চাইলেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এজন্য দু’দেশের আন্তরিকতার প্রয়োজন। কেননা এই পরিস্থিতির অবনতি যে কোনো সময় ঘটবে। যদি সামান্য যুদ্ধও বেঁধে যায়, তার মানবিক ক্ষতিও হবে ভয়াবহ।

ভারতের গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স ব্রোকার জানিয়েছে, দেশটির বহুজাতিক কোম্পানিগুলো রাজনৈতিক ঝুঁকির উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এজন্য তাদের পণ্য উৎপাদনের সুবিধার্ধে বীমা কাভারেজের প্রয়োজন বলে মনে করছে।

বীমা কাভারেজ পেতে চাওয়া কোম্পানিগুলো বিপুল পরিমাণ পণ্য উত্পাদন ও ভোক্তাদের কাছে সরবারহের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। উত্তর ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান ও দিল্লিসহ বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদনকারী কোম্পানির কাঁচামাল ও কারখানা রয়েছে।

দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধ ঝুঁকি বীমা’ পলিসির প্রিমিয়াম বৃদ্ধির হার নির্দিষ্ট অঞ্চলে বাড়তে পারে। রি-ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলো মনে করছে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার পরিস্থিতি অবনতি ঘটবে।

তবে ন্যাশনাল রি-ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি (জিআইসি রি)’র চেয়ারম্যান অ্যালিস ওয়াদেন বলেন, যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি নেই এবং যা হয়েছে তা কেবলমাত্র সার্জিক্যাল স্ট্রাইক।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান-ভারতের মধ্যকার নতুন সংঘাত শুরু হয়। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় এক আত্মঘাতী হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৪০ জন সৈন্যের নিহত হয়। ভারতের দাবি, পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

এর জবাব দিতেই গত মঙ্গলবার ভোরে পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে অভিযান চালায় ভারত। ভারত বলছে, ওই অভিযানে ৩০০ জঙ্গি নিহত হয়। তবে ভারতের দাবি নাকচ করে পাকিস্তান। এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার পর্যন্ত দুদেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলার ঘটনা ঘটে।