‘বীমা শিল্পে সরকারের বিশেষ সমর্থন প্রয়োজন’

পাপলু রহমান: পাকিস্তানের আসকারি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের সিইও ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট আব্দুল ওয়াহিদ বলেছেন, বীমা শিল্পে সরকারের বিশেষ সমর্থন প্রয়োজন। বীমা শিল্পের প্রয়োজনীয় আইন বাস্তবায়নও সরকারকে করতে হবে।

দেশটির সংবাদ ওয়েবসাইট গ্লোবাল ভিলেজ স্পেসকে দেয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, পাকিস্তানের মোটর গাড়ি আইন-১৯৩৮ আছে। এ আইন অনুযায়ী চালকদের মোটর গাড়ির জন্য তৃতীয় পক্ষের দায় বীমা গ্রহণ করতে হয়। তবে এই আইনের বাস্তবায়ন নেই। এ আইন বাস্তবায়নে সরকারকে ট্রাফিক পুলিশ, শুল্ক ও কর বিভাগ ও সরকারি হাসপাতালের মতো শক্তিশালী সংস্থাগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।

তিনি বলেন, গাড়ি কিনতে কিংবা নিবন্ধন করার জন্য গ্রাহকদের বীমার কাগজপত্র দেখানো উচিত। এটি বাস্তবায়ন ও কার্যকর করতে ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন অব পাকিস্তান বহু বছর ধরে সরকারকে চাপ দিচ্ছে। এটি প্রয়োগের ফলে কেবল বীমা শিল্পের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে না, সাধারণ মানুষও উপকৃত হবে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহত হলে তৃতীয় পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের মাত্রা খুব কম এবং সময়ের সাথে এটি আপডেট করা হয়নি।

ওয়াহিদ আরও বলেন, সরকারকে অনেকখাতে বীমাকে বাধ্যতামূলক করা উচিত। পাকিস্তানে বীমা নিয়ে কোনো গণসচেতনতা নেই। বেশিরভাগ মানুষ বীমাকে দায় হিসেবে দেখে এবং তারা এড়ানোর চেষ্টা করে।

সিইও বলেন, স্বাস্থ্য বীমা, ফসল বীমা, ব্যবসায় বিঘ্ন বীমা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও সচেতনতা চালু করা উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত জনগণ এসবের সুফল বুঝতে পারে না এবং বীমা সচেতনতা সৃষ্টিতে সরকার তার দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করছে না।

বীমা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বীমা শিল্প নিজেই দায়ী কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, মূলত সরকারই কোনো শিল্পের উন্নতির জন্য একটি পরিবেশ তৈরি করে এবং পাকিস্তান সরকার সম্পর্কে আমার অভিযোগ হলো যে তারা এই শিল্পের উন্নয়নের তেমন পরিবেশ তৈরি করছে না। সরকারের আগ্রহের অভাব রয়েছে। ফলে বীমা বাজার সমৃদ্ধ হচ্ছে না।

সাইবার ইন্স্যুরেন্স বেশ সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে ওয়াহিদ বলেন, পাকিস্তানে সাইবার সুরক্ষা জরুরি হয়ে পড়েছে। এই পলিসি চালুর জন্য বীমা শিল্প প্রস্তুত রয়েছে। এটি ভবিষ্যত বীমা বাজারকে সমৃদ্ধ করবে। যদি নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই ঝুঁকি গ্রহণ করে তাহলে প্রত্যেক শিল্প এই পলিসির আওতায় আসবে। আর ২০২০ সালের দিকে অর্থের পরিমাণও বাড়বে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের ইসলামি ব্যাংকের পেমেন্ট কার্ড ডাটায় সবচেয়ে বড় সাইবার হামলা হয়। তাতে বিভিন্ন গ্রাহকদের একাউন্ট থেকে ৮০ কোটিরও বেশি রুপি উধাও হয়। পাকিস্তানের ইতিহাসে সেটিই ছিল সবচেয়ে বড় সাইবার হামলা।