শ্রীলঙ্কায় হামলা: আগাম বীমাদাবি মেটাবে এনআইএফটি

পাপলু রহমান: শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলায় দেশটির ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স ট্রাস্ট ফান্ড (এনআইএফটি) অগ্রিম ২৫ মিলিয়ন রুপি বীমা দাবি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ২১ এপ্রিল ইস্টার সানডে উদযাপনের সময় সিনামন গ্র্যান্ড ও কিংসবারি হোটেলসহ ৮টি স্থানে হামলা চালানো হয়।

ডেইলি ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনও মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা হয়নি। এনআইএফটি’র চেয়ারম্যান মানজুলা ডি সিলভা বলেন, সন্ত্রাসী হামলায় অতিরিক্ত বীমা দাবি আসবে যানবাহনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে। কারণ বিস্ফোরণে অনেক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মোট বীমা দাবির ৯০ শতাংশ আসবে সিনামন গ্র্যান্ড ও কিংসবারি হোটেল থেকে।

কনকর্ডিয়া কনসালট্যান্সি (এশিয়া প্যাসিফিক) গ্রুপের কারিগরি পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রাহাম পারদন ও শ্রীলঙ্কানভিত্তিক গ্রাহকদের জন্য চার্টার্ড ক্ষতি সমন্বয়কারী এবং ঝুঁকি পরামর্শদাতা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটতে পারে; যা বীমা কোম্পানিগুলোর চাপ সৃষ্টি করে। ভবিষ্যত সুরক্ষার জন্য বীমা বাজার প্রস্তুত করা জরুরি।

ডেইলি ফিনান্সিয়াল টাইমসের মতে, বীমা কোম্পানিগুলো সাধারণ বীমায় সন্ত্রাসবাদ পলিসি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কর্পোরেট সংস্থা ও ব্যক্তির সঙ্গে যোগ স্থাপন করছে। এও জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার বীমা শিল্পটি ভবিষ্যতের সম্ভাব্য যে কোনো বড় ঝুঁকি গ্রহণের ক্ষমতা রাখে।

দেশটিতে ২০০৯ সালে তামিল টাইগার গেরিলাদের সঙ্গে সেনাদের লড়াইয়ের সময় বোমা হামলার ঘটনা ঘটতো। গত এক দশক আগেই সেখানে গৃহযুদ্ধের অবসান হয়। তারপর দেশটিতে এই প্রথম বড় ধরনের বোমা হামলার ঘটনা ঘটলো।

শ্রীলঙ্কার মোট দুই কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৭০ শতাংশ বৌদ্ধধর্মলম্বী। সেখানে হিন্দু জনগোষ্ঠী ১২ দশমিক ৬ শতাংশ, ৯ দশমিক ৭ শতাংশ মুসলমান ও ৭ দশমিক ৬ শতাংশ খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী রয়েছে।