বীমা দাবি দ্রুত দিতে দক্ষিণ কোরিয়ার ভাবনা
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার আইন প্রনয়ণকারীরা বীমা দাবি সহজ ও দ্রুত প্রক্রিয়ায় পরিশোধের কথা ভাবছে। কোরিয়া ইন্স্যুরেন্স রিসার্চ ইন্সটিটিউট (আইরিআই) একটি জরিপে দেখা গেছে, দেশটির বীমা গ্রাহকদের দাবি আদায়ে জটিল প্রক্রিয়ায় পড়তে হয়েছে।
কোরিয়া টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, প্রয়োজনের সময় গ্রাহকরা বীমা পলিসি থেকে কোনো সাহায্য পান না। তাদের অভিযোগ, বীমা দাবির টাকা পাওয়ার প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ ও জটিল।
২০ বছর ও তার অধিক বয়সী দুই হাজার ৪৪০ কোরিয়ানদের নিয়ে আইরিআই‘র জরিপে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে ১৪.৮ শতাংশ কোরিয় নাগরিক চিকিৎসা সেবার জন্য বীমা দাবির আবেদন করেননি। তাদের মতে, বীমার টাকার অপেক্ষায় থাকলে চিকিৎসা করা আর সম্ভব হয় না। এর চেয়ে নিজ পকেট থেকে চিকিৎসা সেবা নেয়াই ভালো।
জরিপটি বলছে, গত বছর দক্ষিণ কোরিয়া নন-লাইফ খাতে ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বীমা দাবি পরিশোধ করেছে। তবে ৮৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বীমা দাবি গ্রাহকদের দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
এদিকে ডেমোক্রেটিক পার্টি অব কোরিয়া’র প্রতিনিধি কোহ ইউং-জিন বীমা দাবি প্রক্রিয়ার কিছু খসড়া আইন করেছেন; যাতে বীমা দাবি প্রক্রিয়াটি সহজ হয়। খসড়াটির মাধ্যমে বীমা কোম্পানিগুলো হাসপাতাল থেকে গ্রাহকদের চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পাবে।
গ্রাহক অধিকার সংরক্ষণ নামে এক সংগঠনকে দেয়া এক বিবৃতিতে কোহ বলেন, এই আইন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। কোনো জটিল পরিস্থিতিতে না পড়ে সময়মতো বীমা দাবি পাওয়া গ্রাহকদের ন্যায্য অধিকার।
আইন অনুযায়ী, গ্রাহকরা হাসপাতাল থেকে তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাবে এবং তাদের অনুরোধে হাসপাতালের পক্ষ থেকে সেই কাগজপত্রগুলো সরাসরি বীমা কোম্পানিগুলোতে পাঠানোও যাবে।
তবে এটার বিরোধিতা করেছে কোরিয়া হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশন (কেএসএ)। বীমা কর্তৃপক্ষ ও বীমাকারীদের উদ্দেশ্যে সংস্থাটি বলেছে, এতে করে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ পেতে পারে। সংস্থাটি মনে করে, এই আইন কার্যকর হলে হাসপাতালগুলোর জন্য প্রশাসনিক চাপ সৃষ্টি হবে। এছাড়া দেশে খুব বেশি হাসপাতাল নেই যে বীমা দাবির জন্য এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারে।