দাবানলের আগুনে বীমার ক্ষতি ৭০০ মিলিয়ন ডলার
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: দাবানল অস্ট্রেলিয়ার জন্য অস্বাভাবিক কিছু নয়। স্থানীয়রা একে বুশফায়ার নামে ডাকে। সাধারণত গ্রীষ্মকালে তাপদাহের কারণে প্রতি বছরই সেখানকার জঙ্গলে দাবানল হয়। এবারের দাবানল আগের সব রেকর্ড ও তীব্রতা ছাড়িয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, পুড়ে ধ্বংস হয়ে গেছে ১২০০ এরও বেশি বসত বাড়ি ও ৫৫ লাখ হেক্টর জমি। আর এতেই নন-লাইফ বীমায় ক্ষতি দাঁড়িয়েছ ৭০০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয় ডলার। যা মার্কিন ডলারে ৪৮০.৮৭ মিলিয়ন।
ইন্স্যুরেন্স কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া (আইসিএ)’র মতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউ সাউদ ওয়েলস,ভিক্টোরিয়া,কুইন্সল্যান্ড এবং সাউদ অস্ট্রেলিয়া থেকে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো ৮ হাজার ৯ শত ৮৫ টি বীমা দাবি গ্রহণ করেছে।
ইন্স্যুরেন্স কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া (আইসিএ)’র মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা রব হিলান এক অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলেন সামনের দিন এবং সপ্তাহগুলোতে ক্ষুদ্র বাসা-বাড়ির জন্য আরো অনেক বীমা দাবি প্রত্যাশিত থাকবে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর কাছে।
তিনি আরো বলেন বীমা কোম্পানিগুলো বীমা দাবির প্রক্রিয়াটি বীমা গ্রহীতার সাথে যত্নসহকারে ও সংবেদনশীলভাবে আলোচনা করবে এবং কোনরকম ভোগান্তি ও কষ্টছাড়াই শেষ করার নিশ্চয়তা প্রদান করবে। এছাড়াও শত শত পরিবারের জন্য জরুরি বাসস্থান ও আর্থিক সহায়তা বীমা কাউন্সিল দিয়ে যাচ্ছে। বীমা গ্রহীতাদের সাহায্য করার জন্য বীমা দাবি বিশেজ্ঞরা বিভিন্ন সম্প্রদায়ে সক্রিয় এবং প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে এই দুঃসময়ে।
আইসিএ এই সপ্তাহের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া ফেডারেল ট্রেজারার জশ ফ্রাইডেনব্রাগ কে এক সভায় পুন:আশ্বস্ত করেছে যে দাবানল দুর্যোগের প্রভাবে ৪ অঙ্গরাজ্যের ক্ষতিগ্রস্থ সকল বীমা গ্রহীতাদের নন-লাইফ বীমার সমস্ত সম্পদ কাজে লাগিয়ে তাদেরকে সাহায্য করা হবে।
আইসিএর দুর্যোগ হটলাইন দাবানলের সময় ১ হাজারের বেশি বীমা গ্রহীতাকে কল দিয়েছে এবং দাবানলের প্রভাবে ভুক্তভোগী বাড়ির মালিক ও ব্যবসায়ী মালিকদের এ ব্যাপারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে।
ইন্স্যুরেন্স কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া বলেছে দাবানলের আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ বীমার চার পাঁচটা বাড়ির মালিক তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরে আসতে সক্ষম হবে না যদি তাদের সম্পত্তি নষ্ট হয় কারণ তারা যথেষ্ট বীমা কভারের আওতায় ছিলো না।