বীমাখাতের উন্নয়নে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সমঝোতা

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: বীমাখাতের উন্নয়নে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া। এরফলে উভয় দেশ তাদের বীমাখাত নিয়ন্ত্রক সংস্থার সক্ষমতা বাড়াতে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান ও তথ্য বিনিময় করতে পারবে।

কম্বোডিয়ার মিনিস্ট্রি অব ইকনোমি অ্যান্ড ফিন্যান্স (এমইএফ) এবং থাইল্যান্ডের অফিস অব ইন্স্যুরেন্স (ওআইসি) সম্প্রতি এতে স্বাক্ষর করে। দু'দেশের মাঝে এ বিষয়ে এটিই প্রথম সমঝোতা।

এমইএফ'র ডিপার্টমেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ফিন্যান্স পরিচালক মে ভান জানিয়েছেন, একে অপরকে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান ও তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে দু'দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাদের সহযোগিতার হাতকে আরো প্রসারিত এবং দৃঢ় করবে। এছাড়া বীমাখাতের স্থিতিশীলতা, কার্যকরিতা এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিতে বিধি-বিধানের ভূমিকাকে শক্তিশালী করতে উভয় দেশ তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ চালিয়ে যাবে।

থাইল্যান্ডের অফিস অব ইন্স্যুরেন্স কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেল সুথিফন থাবিচাইগাম এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং এমওইউ সম্পন্ন করায় কম্বোডিয়াকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। তিনি বলেছেন, এই সমঝোতা স্বারক উভয় পক্ষকে তাদের ভবিষ্যতের জন্য কাজের অগ্রগতিতে সহযোগিতা করবে।

ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন অব কম্বোডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৬ সালের প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে ২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিকে বীমাখাতে গ্রস প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে প্রায় ২৪ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আগের বছরে যা ছিল ২৯.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এরমধ্যে জেনারেল ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম ৬.৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ৬৩.৫ শতাংশ। তবে কম্বোডিয়ার জেনারেল ইন্স্যুরেন্স প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন অব কম্বোডিয়ার চেয়ারম্যান হুই ভাথরো বলেছেন, লাইফ ও নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স উভয় খাতে প্রবৃদ্ধি একটি ভালো লক্ষণ। তিনি বলেন, বীমা সম্পর্কে কম্বোডিয়ার জনগণের মধ্যে ভালো ধারণার প্রতিফলন এই অগ্রগতি। এছাড়া শক্তিশালী অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বিনিয়োগেরও প্রতিফলন।

বীমা কোম্পানিগুলোর দিকে ঝুঁকি স্থানান্তর হওয়ায়- বীমার বাজার যখন বেড়ে ওঠে, জনগণের আর্থিক ঝুঁকি তখন ছোট হয়ে আসে। বীমাখাতের সকল কোম্পানি ও সংগঠনের প্রচেষ্টা ও অঙ্গীকারের ফলেই প্রাথমিকভাবে এ ধরণের অগ্রগতি হয়। (সূত্র: কেটি, সিআর)