আগামী দশকে ভারতের বীমা খাতে বছরে প্রবৃদ্ধি হবে ১৫%
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ভারতের লাইফ ও নন-লাইফ বীমাখাতে পরবর্তী দশকে বছরে ১৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হতে পারে। এমনটিই প্রত্যাশা করছেন হেইতং সিকিউরিটিস ইন্ডিয়া এর গবেষণা প্রধান সন্তোষ সিং।
তিনি বলেন, ব্যবহারের ভিত্তিতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ দেশগুলোর একটি ভারত প্রবৃদ্ধির ধাপে রয়েছে এবং এর অর্থনীতি আগামী ১০-১৫ বছর প্রবৃদ্ধির পর্যায়ে থাকতে পারে। ইকোনমিক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সিং এসব কথা বলেন।
হেইতং সিকিউরিটিস ইন্ডিয়া এর গবেষণা প্রধান বলেন, নন-লাইফ বীমার গ্রস রিটেন প্রিমিয়ামে (জিডব্লিউপি) আমরা কমপক্ষে ৫ বছর প্রায় ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখতে পারব বলে আমার প্রত্যাশা। এছাড়া অন্তত ১০ বছর এই প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ১৫ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, নন-লাইফ বীমার ক্ষেত্রে দু'টি বা তিনটি হিসাব কাজ করে। এর একটি হচ্ছে পেনিট্রেশন বা অন্তর্ভুক্তি এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে নন-লাইফ বীমার অনেক ব্যবসা জিডিপি'র প্রবৃদ্ধি ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনা ওপর নির্ভরশীল। এগুলো যদি ধীর গতিতে আগায় তাহলে নন-লাইফ খাতের বড় একটি অংশের প্রবৃদ্ধিও দ্রুত হবে না।
সন্তোষ সিং তার ব্যক্তিগত মতামত ব্যক্ত করে বলেন, নন-লাইফ বীমায় অন্যান্য খাতের তুলনায় স্বাস্থ্য বীমা খাত সবচেয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধি লাভ করছে। এ খাতে প্রচুর অন্তর্ভুক্তি রয়েছে। আর এ কারণেই খাতটি দ্রুত প্রবৃদ্ধিলাভ করছে।
অন্যদিকে লাইফ বীমাখাত অনেকটাই সঞ্চয়ের ওপর নির্ভরশীল। কারণ, এটি সঞ্চয় নির্ভর। আবার লাইফ বীমায় অ্যানুয়িটি বা পেনশন ও মরবিডিটি বা স্বাস্থ্য খাতেও ব্যাপক পেনিট্রেশন বা অন্তর্ভুক্তি ঘটছে বলে জানান হেইতং সিকিউরিটিস ইন্ডিয়া এর গবেষণা প্রধান।