মোদিকেয়ার বাস্তবায়নে ৬ কমিটি, বছরে ব্যয় ১২০ বিলিয়ন রুপি
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ভারতের প্রায় ৫০০ মিলিয়ন নাগরিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মোদি সরকারের প্রস্তাবিত ন্যাশনাল হেলথ প্রটেকশন স্কিম (এসএইচপিএস)'র সেবা পাওয়া যাবে অক্টোবরে। গত ১ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত এ প্রকল্প বাস্তবায়নে এরইমধ্যে ৬টি কমিটি গঠন করেছে দেশটির সরকার। ৩১টি রাজ্য ও ইউনিয়ন টেরিটরিগুলোর সঙ্গে দু'দিন ধরে পরামর্শ করে শুক্রবার এসব কমিটি ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মোদিকেয়ার খ্যাত এ স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্পের আওতায় ভারতের ১০০ মিলিয়ন দরিদ্র পরিবারের প্রায় ৫০০ মিলিয়ন তথা ৫০ কোটি নাগরিককে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হবে। যা দেশটির মোট জনসংখ্যা ৪০ শতাংশ। এক্ষেত্রে পরিবার প্রতি বছরে প্রিমিয়াম ধরা হয়েছে ১ হাজার রুপি (১৫৭ মার্কিন ডলার) থেকে ১ হাজার ২শ' রুপি। আর এর সুবিধা হিসেবে পরিবার প্রতি বছরে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকার স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হবে।
২০১৫ সালে গঠিত ভারত সরকারের উপদেষ্টা কমিটি "নীতি আয়োগ" একটি হিসাবে দেখিয়েছে যে, মোদি সরকারের প্রস্তাবিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প বাস্তবায়নে বছরে ব্যয় হবে ১০০ থেকে ১২০ বিলিয়ন রুপির বেশি। স্বাস্থ্য বীমার পুরো ব্যয় বহন করবে দেশটির কেন্দ্রিয় ও রাজ্য সরকারগুলো। এরমধ্যে কেন্দ্রিয় সরকার দেবে ৬০ শতাংশ এবং রাজ্য সরকারগুলো দেবে বাকী ৪০ শতাংশ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দু'দিনব্যাপী পরামর্শ সভার উদ্দেশ্যে ছিল রাজ্যগুলোর সঙ্গে প্রকল্পটির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা, তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবধারণ করা এবং যেসব রাজ্য নিজস্ব স্বাস্থ্য বীমা বা বীমা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে তাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষাগ্রহণ করা। গঠিত ৬টি কমিটি প্রকল্পের কার্যক্রম, তথ্য প্রযুক্তি, প্রতারণা চিহ্নিতকরণ এবং দুঃখ-দুর্দশা, সচেতনতা সৃষ্টি, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা ও সেবা অব্যাহত রাখার বিষয়ে কাজ করবে বলে জানিয়েছে সরকার।
উল্লেখ্য, খুব দ্রুত মার্কিন নাগরিকদের আকর্ষণ সৃষ্টিকারী জাতীয় স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প 'ওবামাকেয়ার' এর আদলে ভারতে এনএইচপিএস বা 'মোদিকেয়ার' ঘোষণা করা হলেও গঠনগতভাবে উভয়ই আলাদা। ওবামা সরকারের ঘোষিত যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প সকলের জন্য বাধ্যতামূলক এবং এর ব্যয় বহন করে যৌথভাবে সরকার ও সুবিধাভোগী। কিন্তু ভারত সরকারের এ স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প সকলের জন্য বাধ্যতামূলক নয় এবং এর পুরো ব্যয় বহন করবে কেন্দ্রিয় ও রাজ্য সরকারগুলো।