আর্থিক অপরাধ বাড়ছে ভারতের লাইফ বীমাখাতে

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: আর্থিক অপরাধের ঘটনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে ভারতের লাইফ বীমাখাতে। গত দু'বছরে এ ধরণের অপরাধ বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ। তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান লেনদেন, তথ্য গোপনীয়তা নিয়ন্ত্রণে জটিলতা এবং কার্যক্রম পরিচালনায় ফাঁকফোঁকর- আর্থিক অপরাধের ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে। এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির লাইফ বীমা ব্যবসায়ীরা।

স্ট্রেংথেনিং দ্যা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ইন্ডাস্ট্রি ইন ইন্ডিয়া বাই মিটিগেটিং ফিনান্সিয়াল রিস্ক শিরোনামের এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি এসব তথ্য জানিয়েছে ইওয়াই ফ্রড ইনভেস্টিগেশন এন্ড ডিসপিউট সার্ভিসেস নামের একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। পরামর্শ বিষয়ক, বীমা, কর, লেনদেন ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য ভিত্তিক প্রতিবেদন তৈরি করে এ গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

ভারতে সরকারি-বেসরকারি লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছেন এমন ১০০'র বেশি পেশাদারের মধ্যে জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে ইওয়াই ফ্রড ইনভেস্টিগেশন এন্ড ডিসপিউট সার্ভিসেস এর এ গবেষণায়। তাতে লাইফ বীমাকারীদের ৫০ শতাংশই জানিয়েছে গত দু'বছরে প্রতারণার ঘটনা বেড়েছে ৩০ শতাংশ। আর ৭ শতাংশ বীমাকারী জানিয়েছে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির কথা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক লাইফ বীমা কোম্পানি ফ্রড মনিটরিং ফ্রেমওয়ার্ক'র বিষয়ে ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি এন্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া'র নির্দেশনা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন। প্রতি ৩টি প্রতিষ্ঠানের ১টি-ই জানিয়েছে, পূর্ণাঙ্গভাবে হুইসেল-ব্লোয়িং পদ্ধতি, জোরালো থার্ড পার্টি ডিউ ডিলিজেন্স প্রক্রিয়া অথবা শক্তিশালী ফ্রড রেসপন্স কার্যপ্রণালী তারা এখনো প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।

ফ্রড ইনভেস্টিগেশন এন্ড ডিসপিউট সার্ভিসেস এর ইন্ডিয়া এন্ড এমার্জিং মাকের্টস এর পার্টনার এন্ড হেড অরপিন্দার সিং জানিয়েছেন, শক্তিশালী দেশিয় চাহিদা এবং তরুণ প্রজন্মের বিপুল আয়ের ফলে ভারতের লাইফ বীমা শিল্প ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি বলেন, এই অবস্থা ধরে রাখতে এবং এটাকে নিরাপদ রাখতে লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোকে আধুনিক প্রযুক্তি সক্ষম করতে বিনিয়োগ করতে হবে। একইসঙ্গে আর্থিক অপরাধ ঝুঁকি প্রতিরোধে তথ্য গোপনীয়তা জোরদার এবং করপোরেট গভর্ন্যান্স পদ্ধতির কাঠোর বাস্তবায়ন প্রয়োজন।