বীমার আওতায় পাঠাও যাত্রী-চালক, ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমার আওতায় আসলেন রাইড শেয়ার প্রতিষ্ঠান পাঠাও এর যাত্রী ও চালকরা। রাইড চলাকালে দুর্ঘটনার শিকার হলে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন হতাহতরা। প্রগতী লাইফের মাধ্যমে এ বীমা সুবিধা দিতে ডটলাইন বাংলাদেশ লিমিটেড ও পাঠাও লিমিটেডের মাধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন ডটলাইন বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হাসান মেহেদী এবং পাঠাও লিমিটেডের সিইও হুসেইন এম ইলিয়াস। অনুষ্ঠানে প্রগতী লাইফের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এসএম জিয়াউল হক উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তি অনুসারে, রাইড চলাকালে পাঠাও এর কোন যাত্রী বা চালকের দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সম্পূর্ণ অক্ষম, দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে গ্রুপ বীমার আওতায় প্রগতী লাইফ ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পাঠাও’র সিইও ইলিয়াস বলেন, বীমার সুবিধা পেতে চালক বা যাত্রী কাউকে বীমার প্রিমিয়ামের টাকা দিতে হবে না। বীমা প্রিমিয়ার সকল খরচ বহন করবে পাঠাও।

তিনি বলেন, প্রত্যেকটি রাইডের জন্য বীমার এই সুবিধা দেয়া হবে। রাইডার বা ক্যাপ্টেন একটি রাইড চালু করার পর, সেই রাইড শেষ করার আগে কোন দুর্ঘটনায় পড়ে যাত্রী বা চালক আহত বা নিহত হলে বীমার সুবিধা পাবেন। তবে কোন রাইডার যদি রাইড দিচ্ছেন না এমন অবস্থায় দুর্ঘটনায় পড়েন তাহলে তিনি বীমার সুবিধা পাবেন না।

ইলিয়াস বলেন, যিনি দুর্ঘটনার শিকার হবেন তিনি রাইড হিস্টোরিতে গিয়ে রিপোর্ট করবেন। সাধারণ আহতের ক্ষেত্রে ৭ দিন, হাসপাতালে ভর্তি হলে ১৫ দিন এবং নিহত হলে ৩০ দিনের মধ্যে এই রিপোর্ট করতে হবে। রিপোর্টের ভিত্তিতে সার্বিক বিষয় ক্ষতিয়ে দেখে প্রগতী লাইফের মাধ্যমে বীমার টাকা পরিশোধ করা হবে।

প্রগতী লাইফের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এসএম জিয়াউল হক বলেন, ট্রেডিশনাল বীমা থেকে বেরিয়ে কিছু করার জন্য আমরা এই প্রোডাক্ট চালু করেছি। এটি গ্রুপ বীমার আওতাধীন একটি প্রোডাক্ট। তবে ট্রেডিশনাল যে গ্রুপ বীমা আছে তার থেকে এটি আলাদা।