জেনিথ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী পদে এস এম নুরুজ্জামানের পুনর্নিয়োগ অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক: জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি’র মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদে এসএম নুরুজ্জামানের পুনর্নিয়োগ অনুমোদন করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) কতৃপক্ষের পরিচালক (উপসচিব) মো. নুরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠি ইস্যুর তারিখ থেকে পরবর্তী ৩ (তিন) বছরের জন্য এই পুনর্নিয়োগ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

অর্থাৎ ২০২৮ সালের ১৬ জুন পর্যন্ত তিনি বীমা কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

এর আগে দুই মেয়াদের জন্য কোম্পানিটির মুখ্য র্নির্বাহী কর্মকর্তা পদে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এস এম নুরুজ্জামান।

মুখ্য নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম (বিআইএফ)’র জয়েন্ট সেক্রেটারি এবং বীমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ)’র নির্বাহী সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করছেন এস এম নুরুজ্জামান।

দেশের শীর্ষস্থানীয় লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে তিনি দীর্ঘ এক যুগ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মুখ্য নির্বাহীর চলতি দায়িত্বও পালন করেছেন। পরবর্তীতে তিনি বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্সে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা ডিএমডি (উন্নয়ন প্রশাসন বিভাগ) পদে যোগদান করেন।

চতুর্থ প্রজন্মের বীমা প্রতিষ্ঠান জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে তিনি যোগদান করেন ২০১৪ সালে।পরবর্তীতে ২০১৬ সালে তিনি কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব পান। ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল ৪০ বছর বয়সে তিনি প্রথমবারের মতো মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন লাভ করেন।

বীমা শিল্পে কর্মরত থাকার পাশাপাশি এস এম নুরুজ্জামান বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সেবামূলক ও সংস্কারধর্মী প্রতিষ্ঠান ও কর্মকাণ্ডের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। এছাড়াও তিনি বীমা বিষয়ে গবেষণাধর্মী লেখালেখি করে চলেছেন নিয়মিত-ই।

পেশাগত দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে ভারত, নেপাল, সিংগাপুর, মালদ্বীপ, মালেয়শিয়া, সৌদি-আরব ও সংযুক্ত আরব-আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন।

১৯৭৯ সালে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার চন্দনাইল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন এসএম নুরুজ্জামান। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক মেয়ে ও এক ছেলের বাবা।