পুনর্বীমা চুক্তি হয়নি ৩৬ কোম্পানির, এসবিসি’র পাওনা ১০৮৪ কোটি ৬ লাখ টাকা
আবদুর রহমান আবির: আইন অনুসারে বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত পুনর্বীমা প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনের সাথে পুনর্বীমা চুক্তি করতে হয়। প্রতি বছর এই চুক্তি নবায়ন করতে হয় ৩১ মার্চের মধ্যে। এই সময় আরো এক মাস বৃদ্ধি করে থাকে সাধারণ বীমা করপোরেশন (এসবিসি) ।
তবে সাধারণ বীমা করপোরেশন জানিয়েছে, চলতি বছরে ৯টি বীমা কোম্পানি ছাড়া আর কারো সাথে এই চুক্তি (রিইন্স্যুরেন্স ট্রিটি) অনুমোদন করেনি। বেসরকারি কোম্পানিগুলোর পুনর্বীমা প্রিমিয়াম বকেয়া থাকায় এই চুক্তি নবায়ন করছে না সাধারণ বীমা করপোরেশন। তবে আরো কয়েকটি পুনর্বীমা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশন বলছে, বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর কাছে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুনর্বীমা প্রিমিয়াম বাবদ পাওনা রয়েছে ১১২৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আইন অনুসারে প্রিমিয়াম বকেয়া রেখে পুনর্বীমা চুক্তির কোন সুযোগ নেই।
অন্যদিকে বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোর দাবি, পুনর্বীমা দাবি বাবদ সাধারণ বীমা করপোরেশনের কাছে তাদের পাওনা ৩০৪২ কোটি টাকা। তারা পুনর্বীমা দাবির টাকা দিচ্ছে না অথচ পুনর্বীমা প্রিমিয়ামের জন্য চাপ দিচ্ছে। এই অবস্থায় পুনর্বীমার প্রিমিয়ামের টাকা নগদে পরিশোধ করতে গেলে আর্থিক সংকটে পড়বে বেসরকারি কোম্পানিগুলো।
তবে সাধারণ বীমা করপোরেশনের হিসাবে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোর পাওনা বীমা দাবির পরিমাণ ২৭৫৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৮০২টি বীমা দাবির চূড়ান্ত সার্ভে রিপোর্ট আছে, যাতে মোট পাওনা ৯৩২ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
তবে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির সময় কোম্পানিগুলোর পাওনা বীমা দাবির পরিমাণ আরো কমে আসবে বলে জানিয়েছে সাধারণ বীমা করপোরেশন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, চূড়ান্ত সার্ভে রিপোর্ট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জমা না দেয়াসহ পলিসির শর্তাদির কারণে অনেক বীমা দাবি বাতিল হতে পারে।
সাধারণ বীমা করপোরেশনের সাথে বাধ্যতামূলক পুনর্বীমা চুক্তি নিয়ে এই জটিলতা চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকেই। কখনো সাধারণ বীমা করপোরেশন বলেছে, বেসরকারি কোম্পানিগুলোর বকেয়া প্রিমিয়াম পরিশোধ করছে না। আবার বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোও বলেছে, সাধারণ বীমা করপোরেশন বীমা দাবি পরিশোধ করছে না।
এই নিয়ে উভয় পক্ষের বকেয়া জের টানতে হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। অথচ আইন অনুসারে প্রিমিয়াম বকেয়া রেখে পুনর্বীমা চুক্তি যেমন বহাল রাখার সুযোগ নেই, তেমনি ৯০ দিনের মধ্যে পুনর্বীমা দাবি পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রয়েছে আইনে। ফলে দীর্ঘ দিন ধরেই এ বিধান লঙ্ঘন করে আসছে সাধারণ বীমা করপোরেশন ও বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো।
জটিলতা নিরসনে যেসব প্রস্তাব এসেছে:
বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর পুনর্বীমাযোগ্য প্রিমিয়ামের ৫০ শতাংশের পুনর্বীমা সাধারণ বীমা করপোরেশনের সাথে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বীমা করপোরেশনের আইন, ২০১৯-এ। এই আইন অনুসারে ৫০ শতাংশ পুনর্বীমা চুক্তি রয়েছে ১২টি কোম্পানির। আর বাকি ৩৩টি কোম্পানি ১০০ শতাংশ পুনর্বীমা করে সাধারণ বীমা করপোরেশনের সাথে।
বীমা ঝুঁকি গ্রহণের ক্ষেত্রে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর বেশিরভাগেরই ওউন রিটেনশন বা নিজস্ব অংশের পরিমাণ ৫ থেকে ১০ শতাংশ। অর্থাৎ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাধারণ বীমা করপোরেশনের কাছে ৯০ শতাংশের বেশি ঝুঁকির পুনর্বীমা করতে হয় নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর।
এই পুনর্বীমা প্রিমিয়াম ও দাবি পরিশোধ সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি কথা বলেছে বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো এবং পুনর্বীমা প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনের সাথে। এই আলাপে মোটাদাগে যেসব সমাধানের প্রস্তাবনা এসেছে তা হলো-
যেহেতু বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোর আর্থিক সক্ষমতা কম। তাই আইন অনুসারে সাধারণ বীমা করপোরেশের কাছে প্রাপ্য সকল পুনর্বীমা দাবি দ্রুত পরিশোধের ব্যবস্থা করা। একইসঙ্গে বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর পূর্বের সকল বকেয়া কিস্তি আকারে ধাপে ধাপে পরিশোধের সুযোগ প্রদান করা।
এ ছাড়াও চলতি বছরকে ভিত্তি বছর ধরে নতুন করে যাতে আর পুনর্বীমার প্রিমিয়াম বকেয়া না হয় সে জন্য বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানি ত্রৈমাসিক সেশন অনুসারে প্রিমিয়াম পরিশোধ করা।
পুনর্বীমা চুক্তি নিয়ে যা বলছে সাধারণ বীমা করপোরেশন:
সাধারণ বীমা করপোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার (পুনর্বীমা বিভাগ) এস এম শাহ আলম বলেন, পুনর্বীমা প্রিমিয়াম আদায় করা এখন একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যথাযথভাবে পুনর্বীমা প্রিমিয়াম আদায় না হওয়ায় বীমা দাবি পরিশোধে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে অগ্নি বীমা খাতে দাবির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি এই সংকট আরও বেড়েছে।
তিনি আরো বলেন, ২০২৩ সাল থেকেই আমরা বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে প্রতি প্রান্তিক শেষে প্রিমিয়াম পরিশোধের তাগিদ দিয়ে আসছি। এক্ষেত্রে প্রান্তিক শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে প্রিমিয়াম পরিশোধ না হলে চুক্তি বাতিলের নোটিশ প্রদান করা হবে বলেও চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা হচ্ছে। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে আমাদের কঠোর হতে হচ্ছে।
তবে এরইমধ্যে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো পুনর্বীমার বকেয়া প্রিমিয়াম পরিশোধ করা শুরু করেছে বলেও জানান এস এম শাহ আলম। তিনি বলেন, কোম্পানিগুলো ধাপে ধাপে বকেয়া প্রিমিয়াম পরিশোধের চেষ্টা করছে। বেশ কয়েকটি কোম্পানি বকেয়া প্রিমিয়ামের একটি অংশ পরিশোধ এবং বাকী টাকার মধ্যে কিছু অগ্রিম চেক দিয়ে নতুন চুক্তি সম্পন্ন করেছে।
যা বলছেন বীমা বিশেষজ্ঞরা:
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স প্রফেশনালস সোসাইটি (বিআইপিএস)’র জেনারেল সেক্রেটারি একে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই বলেন- পুনর্বীমার বকেয়া প্রিমিয়াম ও দাবির এই জটিলতা যদি নিরসর করা যায় এবং প্রতিটি সেশনে পুনর্বীমা প্রিমিয়াম (সিডেড প্রিমিয়াম) জমা ও বীমা আইন অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা যায় তাহলে নন-লাইফ বীমা খাতে অবৈধ কমিশন ও অন্যান্য যেসব দুর্নীতি রযেছে তা প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে। অপরদিকে বীমা কোম্পানিগুলোর প্রতি গ্রাহকদের আস্থাও বাড়বে।
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমরা সাধারণভাবে যেটা দেখি তাতে বীমা গ্রাহকদের কাছ থেকে যে পরিমাণ প্রিমিয়াম নেয়া হয় তার প্রায় ৩০ শতাংশ জমা দিতে হয় পুনর্বীমা প্রিমিয়াম হিসেবে। অন্যদিকে ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের বিধান অনুসারে কমিশন দিতে হয় ১৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় হয় আরো ৪০ শতাংশ। অর্থাৎ মোট প্রিমিয়ামের প্রায় ৮৫ শতাংশ খরচ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো এই ১৫ শতাংশ প্রিমিয়াম থেকে আর অবৈধ খাতে ব্যয় করতে পারবে না।
এসবিসি’র কাছে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর পাওনা ২৭৫৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা:
সাধারণ বীমা করপোরেশনের পুনর্বীমা বিভাগের দাবি সংক্রান্ত বিবরণী অনুসারে, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোর পুঞ্জিভূত (নিষ্পত্তি হয়নি) বীমা দাবির সংখ্যা ১১৭৫টি। এসব বীমা দাবি বাবদ কোম্পানিগুলোর পাওনা ২৭৫৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
এর মধ্যে ৩৭৩টি বীমা দাবির চূড়ান্ত সার্ভে রিপোর্ট দাখিল করেনি বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলো। প্রাথমিক সার্ভে রিপোর্ট অনুসারে এসব বীমা দাবি বাবদ কোম্পানিগুলোর পাওনা ১৮২২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর চূড়ান্ত সার্ভে রিপোর্ট অনুসারে ৮০২টি বীমা দাবি বাবদ কোম্পানিগুলোর পাওনা ৯৩২ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
প্রাথমিক ও চূড়ান্ত সার্ভে রিপোর্ট মিলে অগ্নি বীমা খাতে মোট দাবির পরিমাণ ২৪৫০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এ খাতে মোট বীমা দাবির সংখ্যা ৬৯৭টি। নৌ-হাল বীমার ৮৪টি দাবি বাবদ মোট পাওনা ১১৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। নৌ-কার্গো বীমার ১৭৬টি দাবি বাবদ মোট পাওনা ১১৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে ২৯টি বীমা দাবি বাবদ মোট পাওনা ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। মটর বীমায় ১৪৭টি দাবি বাবদ মোট পাওনা ৬৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা এবং ৪২টি বিবিধ বীমা দাবি বাবদ বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোর পাওনা রয়েছে ১১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
পুনর্বীমা চুক্তি হয়নি ৩৬ কোম্পানির, এসবিসি’র পাওনা ১০৮৪ কোটি ৬ লাখ টাকা:
পুনর্বীমা চুক্তি না হওয়া ৩৬টি নন-লাইফ বীমা কোম্পানির কাছে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসবিসি’র পাওনা রয়েছে ১০৮৪ কোটি ৫ লাখ ৭৪ হাজার ১২৯ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওনা রয়েছে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের কাছে, ১৪৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর পরের অবস্থানে রয়েছে প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, কোম্পানিটির কাছে ৯৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে এসবিসি।
এ ছাড়াও কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের কাছে ৭২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের কাছে ৭০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের কাছে ৫৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং নিটল ইন্স্যুরেন্সের কাছে ৫২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সাধারণ বীমা করপোরেশন।
পুনর্বীমা চুক্তি করা ৯ বীমাকারীর কাছে এসবিসি’র পাওনা ৪২ কোটি ৭১ লাখ টাকা:
পুনর্বীমা চুক্তি সম্পন্ন করা ৯টি বীমা কোম্পানির কাছে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসবিসি’র পাওনা ছিল ৪২ কোটি ৭০ লাখ ৯৭ হাজার ২২৪ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওনা ছিল কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের কাছে, ১৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
এর পরে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের কাছে ১২ কোটি ৩ লাখ টাকা ও সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের কাছে ৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা পাওনা ছিল। তবে পুনর্বীমা চুক্তি হওয়া ৯টি বীমা কোম্পানির মধ্যে ইস্টার্ণ ইন্স্যুরেন্সের কাছে এসবিসি’র কোন প্রিমিয়াম পাওনা নেই।
পুনর্বীমা চুক্তি সম্পন্ন হওয়া ৯ বীমা কোম্পানি হলো-
সাধারণ বীমা করপোরেশনের গত ২৮ এপ্রিলের তথ্য অনুসারে, সিটি ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ণ ইন্স্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, শিকদার ইন্স্যুরেন্স, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্স এবং ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পুনর্বীমা চুক্তি অনুমোদন করা হয়েছে।
এ ছাড়াও প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, ইস্টল্যন্ড ইন্স্যুরেন্স, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্স এবং তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের পুনর্বীমা চুক্তির বিষয়টি ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে সাধারণ বীমা করপোরেশন।
এসবিসি’র সাথে ১২ কোম্পানির পুনর্বীমা চুক্তি ৫০%
বর্তমানে দেশের ৪৫টি নন-লাইফ বীমা কোম্পানির মধ্যে সাধারণ বীমা করপোরেশনে সাথে ১২টি কোম্পানির বাধ্যতামূলক তথা পুনর্বীমাযোগ্য অংশের ৫০ শতাংশের ট্রিটি বা পুনর্বীমা চুক্তি রয়েছে। এসব কোম্পানির বাকী ৫০ শতাংশ পুনর্বীমা করা হয় বিদেশি প্রতিষ্ঠানে। আর ৩৩টির সঙ্গে শতভাগ পুনর্বীমা চুক্তি রয়েছে সাধারণ বীমা করপোরেশনের।
পঞ্চাশ শতাংশ পুনর্বীমা করা কোম্পানিগুলো হলো- বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, নিটল ইন্স্যুরেন্স, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, সেনা ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স এবং ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি।